নতুন প্রজন্মের সাথে মক্তবের বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়েছে। প্রায় ছাত্রছাত্রীই সবাহি মক্তব চিনে না। মক্তবে যায়নি, কুরআন পড়াও শিখেনি। সেই ছোট্ট থেকে স্কুলমুখী হওয়ার পর কুরআন যে শিখতে হয় তাও হয়তো মাথায় আসেনি। ফলে আমাদের বর্তমান সমাজে মক্তব দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে।
কোমলমতি শিশুরা কুরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, মাসনুন দোয়া ও আকিদার প্রাথমিক পাঠ থেকে চিরতরে বঞ্চিত হচ্ছে। যারা কুরআন পড়েনি, দ্বীন সম্পর্কে জানেনি তারা কিভাবে দ্বীনের প্রতি গভীর ভালোবাসা লালন করবে? আবারো সবাহি মক্তবের সহজসাধ্য শিক্ষাপদ্ধতিটি নতুন প্রজন্মের সামনে আনা আবশ্যক। জাগতিক ও দুনিয়াবি শিক্ষার গুরুত্বও কোনো অংশে কম নয়।
কিন্তু কোমলমতি শিশুদেরকে জীবনের প্রারম্ভে দ্বীনি শিক্ষা দেয়ার গুরুত্ব আরো বেশি। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: বলেন, ‘প্রত্যেক মুসলিমের উপর ইলম অর্জন করা ফরজ’।
অন্তত এতটুকু শিক্ষাও যদি শৈশবের সকালে শিশুকে দেয়া হয়, এতে শিশুও কুরআন শিখতে পারবে এবং আশাবাদী, এর দ্বারা অভিভাবক কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হবেন। আল্লাহর কাঠগড়া থেকে মুক্তি পাবেন। জীবনসায়াহ্নে এসে সেই শিক্ষার সুফলও পাবেন। সন্তানদেরকে তুলনামূলক অনুগত ও দয়াপরশ পাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :