দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ২০২৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়ে বিএনপির থেকে বহিষ্কার হন সিলেট মহানগর বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও সহসভাপতি ফরহাদ চৌধুরী শামীম। তখন পঞ্চমবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও আর দলে ফিরতে পারেন নি ফরহাদ শামীম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করে সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কাউন্সিলের প্রায় ২ বছর পর ঘোষিত মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাননি ফরহাদ শামীম। তবে নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
নতুন কমিটি ঘোষিত হওয়ার পরই ফরহাদ চৌধুরী শামীম তার ফেসবুকে লিখেন, ‘দল থেকে বহিষ্কার থাকার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাউকে অভিনন্দন জানাতে পারছি না বলে দুঃখিত।’
ফরহাদ শামীম মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ, সহসভাপতি, যুগ্ম আহ্বায়ক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।
প্রসঙ্গত- ২০২৩ সালের ১০ মার্চ কাউন্সিলরদের ভোটে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক পদে এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সৈয়দ সাফেক মাহবুব নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন ১ হাজার ৬৬টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহানগর বিএনপির সাবেক (কাউন্সিলের আগের) আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব (বর্তমান কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক) মিফতাহ সিদ্দিকী পান ৭৬৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ১ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফরহাদ চৌধুরী শামীম পান ৭৭২ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রদল নেতা সৈয়দ সাফেক মাহবুব ৬৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম নাচন পান ৬২৩ ভোট।
আপনার মতামত লিখুন :