গোলাপগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন সড়কের কাজ আবারো শুরু হয়েছে
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকে আব্দুল আহাদঃ
বিভিন্ন জটিলতার কারণে গোলাপগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন সড়কের কাজ আবারো শুরু হয়েছে। রাস্তার উন্নয়ন কাজ বন্ধ হওয়ায় জনগণ চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ দুর্ভোগে ছিলেন। এক্ষেত্রে ঠিকাদারদের অসহযোগিতা কাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ আন্তরিক হয়ে এগিয়ে আসায় বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তার উন্নয়ন কাজ ফের শুরু হয়। এ জন্য গোলাপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নাগরিক সমাজের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
দেশের উপজেলা পর্যায়ে প্রথম সারির একটি জনপদ হচ্ছে গোলাপগঞ্জ। এ উপজেলার স্হানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে বেশ কয়েকটি রাস্তার পাকাকরণ ও সংস্কার কাজ এগিয়ে চললে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে ঠিকাদাররা অনেক কাজ সম্পন্ন না করে লাপাত্তা হয়ে যায়। কোন কোন এলাকায় রাস্তার মাটি খোঁড়ে গর্তের সৃষ্টি করে আবার কোন কোন এলাকায় ভাঙ্গা পাকা রাস্তার উপরি ভাগের ছাল তুলে বাকী কাজ না করে চলে যায়।
এতে স্হানীয় জনগণ চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। ঐ সব বিষয়ে স্হানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করতে থাকেন। ঠিকাদাররা লাপাত্তা হয়ে গেলে সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে রাস্তা গুলো চলাচলের উপযোগী করতে উদ্যোগ নেন। এর মধ্যে একটি রাস্তা হচ্ছে গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পূর্ব চন্দনভাগ রানাপিং রাস্তা। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আড়াই বছর আগে উক্ত রাস্তা মেরামত জন্য বরাদ্দ হলে ঠিকাদার কিছু কাজ করে বড় অংকের একটি বিল উত্তোলন করে লাপাত্তা হয়ে যায়। ভাঙা চুরা এ রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করতেন।
এলাকাবাসীকে দুর্ভোগের কবল থেকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ জেলা প্রকৌশল বিভাগের সহযোগিতায় রাস্তাটি পূর্ণ নির্মাণে উদ্যোগী হলে গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে রাস্তাটির কার্পেটিং এর কাজ শেষ হয়। ফলে অত্র এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান প্রতিবেদক কে জানান, পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল কাজগুলো আবার শুরু হবে। জন দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানালেন।
আপনার মতামত লিখুন :