গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা মেকানিক মিনহাজ আহমদ।
উপজেলার পৌর শহরে শত শত ছাত্র-জনতার মিছিলে যখন উত্তাল, ঠিক তখনই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন অসংখ্য মানুষ। আহতদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন সিএনজি (অটোরিকশা) ওয়ার্কশপের মেকানিক মিনহাজ আহমদ।
তখন অব্যাহত গুলি ছোড়ার কারণে তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শহিদ মিনহাজ আহমদের বাড়ি উপজেলার দত্তরাইল গ্রামে। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এ ঘটনার পর থানায় মামলা হলেও এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সরেজমিন শহিদ মিনহাজ আহমদের দত্তরাই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পুরো বাড়ি নীরব-নিস্তব্ধ।
শহিদ মিনহাজের ঘরে ঢুকে চোখে পড়ে ‘শহিদ কামরুলের স্মরণিকা’ লেখা একটি স্মরণিকা। শোকাহত এ পরিবারে মুখে কোনো হাসি নেই। পরিবারের সদস্যরা এখন শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন। শহিদ মিনহাজের বাবা আলা উদ্দিন আলাই ছেলে হত্যার বিচার চান।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মিছিলে গুলিবিদ্ধ আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আমরা ছেলে হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মিনহাজের মা সিতাই বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলের কেন দোষ ছিল না। সে আহত লোকজনদের বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হয়েছে। তার বড় ভাই সাইদ আলম জানান, ঘটনার পর ভাই হত্যার বিচার চেয়ে থানায় মামলা করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
https://www.jugantor.com/country-news/880762
আপনার মতামত লিখুন :