সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরসহ গ্রামীণ জনপদের সড়কগুলোয় বাইকাররা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। ব্যস্ততম সড়ক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলোতেও একই দৃশ্য লক্ষ করা যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে শুরু করে কোন কিছুই নেই এসব বাইকার চালকদের। এই বাইকারদের বড় একটা অংশ কিশোররা। এদের নেই কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিত ব্যবস্থা কিংবা হেলমেট। অল্পসংখ্যক চালকেরা নিয়ম মানলেও পরিমিত নয় বেশিরভাগেরই।
গেল ১৬ মে বিয়ানীবাজার পৌর শহরের রোড ডিভাইডারের সাথে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২৩ বছরের মিজানুর রহমান নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি কলেজ পড়ুয়া রেদোয়ান আহমদ নামের এক তরুণ মেওয়া চত্বরে ট্রাকের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন চারজন একেকটি মোটর সাইকেলে চড়ে বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে। ফলে বেপোরোয়া গতির কারনে প্রাণও যাচ্ছে অনেকেরই। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এরা হাইড্রোলিক হর্ণ বাজিয়ে সড়কে দাপিয়ে বেড়ায়। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট গুলোর মোড় বা চত্বরে তাঁরা বাইক হেলিয়ে স্টাইলি দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন শর্ট ভিডিও আকারে। আঁকাবাঁকা রেখায় বাইক চালানোর প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটেছে রাস্তায়। কারো মৃত্যু হয়েছে কেউবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
এদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির বৈধ কাগজপত্র ছাড়া সড়ক মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ কোন যানবাহন চালানোর সুযোগ নেই। অথচ এসবের কোন বালাই নেই। সব চলছে যেন ফ্রি-স্টাইলে।
বিয়ানীবাজার গোলাবশাহ যুব সংঘের চেয়ারম্যান মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম বলেন, এমন দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক ও কিশোর চালকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি বলেন, অল্প বয়সী তরুণরা বাইকে উঠলে গতি পরোয়া করেন না। তারা আবেগী। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতনতা হওয়া জরুরি।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে অচিরেই।
আপনার মতামত লিখুন :