বাবা রফিক উদ্দিন ও মা দিলারা বেগমের আশা ছিল ছেলেকে কুরআনের হাফেজ বানাবেন। এ কারণে ছেলে পাবেল আহমদ কামরুলকে সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ দারুল উলুম হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করান। কুরআনের ২৮ পারা মুখস্থ করেছিলেন তিনি।
তবে হাফেজ হওয়ার আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে শহিদ হন তিনি। তাকে হারিয়ে এখনো কাঁদেন পরিবারের লোকজন।
শহিদ পাবেল গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা। ৫ আগস্ট সিলেট নগরীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে মিছিলে অংশ নেন তিনি। নগরীর কিনব্রিজের পাশে গুলিবিদ্ধ হন। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরেজমিন কানিশাইল গ্রামে শহিদ পাবেলের বাড়িতে দেখা যায়, পরিবারে কারোর মুখে হাসি নেই। এ সময় পাবেলের বাবা রফিক বলেন, আমার ছেলেকে এভাবে হারাব তা কল্পনাও করতে পারিনি। আমার অন্য ছেলেকে সরকারি চাকরি দেওয়া হলে শহিদ পাবেলের আত্মা শান্তি পাবে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে দিলারা বেগম বলেন, আরও কিছুদিন পর আমার ছেলে হাফেজ হয়ে যেত। আন্দোলনে গিয়ে আমার কলিজার টুকরা শহিদ হয়েছে। পাবেলের ভাই সুলতান বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর পরিবারে অন্ধকার নেমে এসেছে।
জানা গেছে, পাবেলের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
https://www.jugantor.com/country-news/880408
আপনার মতামত লিখুন :